Nabanna : রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান এবার থেকে কে হবেন? নবান্নের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর

নবান্নে (Nabanna) স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে (Nabanna)  উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান, সিএমওএইচ, বিএমওএইচ, জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা। বৈঠকের পর (Nabanna) সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেস্টরুম, ওয়াশরুম, সিসিটিভির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি থাকা। এবার থেকে (Nabanna)  রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরাই। সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুরজিত পুর কায়স্তকে। ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য। বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রোগী কল্যান সমিতির সদস্য হিসেবে থাকবেন MSVP। এছাড়াও সেখানে সদস্য হিসেবে একজন জুনিয়র চিকিৎসক থাকবেন। এছাড়াও একজন সিনিয়র চিকিৎসক থাকবেন। পাশাপাশি বিচারবিভাগীয় প্রধান ও সিস্টারদের একজন থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এছাড়াও রাতের সাথী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেগুলো বাতিল করতে বলেছেন, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। বাকি অংশ নিয়ে রাতের সাথী দ্রুত চালু করা হবে।

একাধিক দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করেন। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি ছিল। সেই নিয়ে আগেই মুখ্যসচিব চিঠি লিখেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব। এছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যভবনের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে রোগী কল্যান সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জুনিয়র চিকিৎসকরা সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালাচারের বিরোধিতা করেন। তাঁরা এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার দাবি তোলেন। সেই দাবি অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের বয়ান নিচ্ছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে জানা গিয়েছে। আরজি করের বিশেষ তদন্ত কমিটির কাছে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পিজিটি কিংবা MBBS পড়ুয়া বলে খবর। জানা গিয়েছে, শনিবার এই বিষয়ে এক দফা শুনানি হয়। সেখানে ১০ জনকে ডাকা হয়। মঙ্গলবার আরও এক দফা শুনানি হয়। সেখানে আরও ১২ জনকে ডাকা হয়। যে অভিযোগকারীরা সামনে এসে অভিযোগ জানাতে চাইছেন, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত, অভিযোগকারী এবং সাক্ষীদের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত বয়ান রেকর্ড পর্ব চলে বলে জানা গিয়েছে।