বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য ভবনে এবার চিঠি গেল সিবিআইয়ের (CBI)। রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বিএমডাব্লিউ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠাল সিবিআই (CBI)। আরজি করে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট-এর দুর্নীতি নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। বর্তমানে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই (CBI) তদন্ত করছে।
কোন হাসপাতালে কোন সংস্থা বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগ সরবরাহের বরাত পেয়েছিল, তা জানতে চেয়েছে সিবিআই(CBI)। বরাতের চুক্তিপত্রও সিবিআই দেখতে চেয়েছে বলে খবর। কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল কী? চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে কারণ কী? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এছাড়াও বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগের ওজন হওয়া প্রয়োজন ৭৫ মাইক্রন, ১২০ মাইক্রন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা কি মানা হয়েছে এই রাজ্যে? তা জানতে চায় সিবিআই বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যভবনের কাছে সিবিআই জানতে চেয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা কবে থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে? ২০২১ সালে নির্দেশিকা চালু করতে কেন দেরি হয়েছে? নিয়ম মানার ক্ষেত্রে কী নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেটাও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চায়।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য দুর্নীতি নিয়ে আখতার আলি হাইকোর্টে অভিযোগ করেছিল। অভিযোগে সন্দীপ ঘোষের নাম উল্লেখ থাকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এর আগেও তিনি একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্যভবন। বরং তাঁর কাছে বদলির নির্দেশ আসে। আরজি কর কাণ্ডের পর নতুন করে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানান হাইকোর্টে। সেখানে আখতার আলি জানিয়েছিলেন, এনআরএস-আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য উৎপাদনে একই ক্ষমতা। তবুও সেপ্টেম্বর ২০২২-ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্যে এনআরএসে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৫০ কেজি। সেখানে আরজি করে একই সময়ে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর মাত্রা সেখানে ৪৯ হাজার ৬০২.৪৪ কেজি। অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ২০২২-২০২৪ সালে রাজ্যের সবকটি হাসপাতালে কত পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগের বরাত দেওয়া হয়েছিল তার তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই।