পুজো আসতে হাতে আর কয়েকদিন বাকি (Calcutta High Court)। কিন্তু এবারের পুজোটা একেবারে অন্যরকম। (Calcutta High Court) পুজোর স্বাদ, আনন্দের উষ্ণতা কোথাও যেন একটু ফিকে পড়ে গেছে। এই পুজোতে উৎসবের আবহের মধ্যে উঠছে বিচারের দাবি। এই প্রেক্ষিতে লালবাজার জারি করল একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রের একটা বড় অংশে নিষেধাজ্ঞা করেছে। এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সিপিএম হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জানান, পুজোর সময় এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে সম্ভব। তাহলে ওখানের পুজোগুলোর অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হোক।
শুক্রবার আদালতকে (Calcutta High Court) রাজ্য জানায়, ‘জমায়েতে এই নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়, ২০২৩ থেকে লাগু আছে, প্রতি ৬ মাস অন্তর এটা পুনর্নবীকরণ হয়’। পুলিশের নোটিশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্য জানাল, এই নির্দিষ্ট সময়কালে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা শুধু কে সি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস এলাকা পর্যন্ত বলবৎ আছে। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি (Calcutta High Court) রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানান, ‘তাহলে এই এলাকায় যে পুজোগুলি হয়, সেগুলির কী হবে? সেই পুজোগুলির অনুমতি তো বাতিল করতে হবে’। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শুধু ৫০-৬০ মিটার পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে।
কলকাতা পুলিশের নির্দেশিকা অনুসারে বউবাজার থানা,হেয়ার স্ট্রিট থানা, কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের সংলগ্ন এলাকায় (বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ছাড়া) পাঁচজন বা তার বেশি লোক জমায়েত করতে পারবেন না। লাঠি বা বিপজ্জনক অস্ত্র নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না। মানুষের অসুবিধা হতে পারে, এমন কোনও কাজ করা যাবে না। বুধবার অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। এক্ষেত্রে পরোক্ষে মিছিল করা যাবে না বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকা জারির পর থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, গণআন্দোলনের কণ্ঠরোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সিপি মনোজ বর্মা। মূলত নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা হয় এই বৈঠকে। এর পরই সিপি এনিয়ে ১৬৩ ধারা জারি করেন।