বাবা-মাকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Baruipur) অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে (Baruipur)। ওই গৃহশিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার (Baruipur) করেছে। ঘটনাটি বারুইপুরে (Baruipur) হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বারুইপুর (Baruipur) স্টেশন সংলগ্ন রেল কোয়ার্টারে কোচিং সেন্টার চালাতেন ওই গৃহশিক্ষক। সেখানেই ১৪ বছরের ওই কিশোরী পড়তে যেতেন। টানা তিন-চার মাস কিশোরীকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষক জানান, যদি বাড়ির কাউকে এই কথা বলে দেওয়া হয়, তাহলে তাকে খুন করা হবে। এই ভয়ে দিনের পর দিন চুপ থাকতেন নাবালিকা। কিন্তু ব্যবহারে অস্বাভাকিত্ব দেখতে পাওয়ার পর বাবা-মা ওই কিশোরীকে চাপ দিতে থাকেন। তারপরেই কিশোরী কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাবা-মাকে সমস্ত কথা খুলে বলে দেন।
সমস্ত কিছু জানার পরে বারুইপুর থানায় কিশোরীর বাবা-মা অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছে। তার কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শুধু তাদের মেয়ে নয়, ওই কোচিং সেন্টারে আরও অনেক মেয়ের ওপর সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে।
নাবালিকার মা দাবি করেছেন, কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল তাঁর মেয়ে। এরপর মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেয়ের চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে তাঁদের। বৃহস্পতিবার বারুইপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয় নাবালিকার পরিবারের তরফে। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে।
তিলজলায় ৬ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ-খুনের দোষীকে গতকাল ফাঁসির সাজা দিয়েছেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। গত বছরের মার্চ মাস তিলজলার ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই রাতেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় আসামীর বাড়ি থেকে। আসামীর বাড়ির রান্নাঘরে গ্যাসের পাশে শিশুটির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। ১৬ জুন চার্জশিট পেশ করে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়।