আরজি কর কাণ্ডে এখন নির্যাতিতা বিচার পাননি। সাধারণ মানুষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) আন্দোলন করেছেন। এখনও কলকাতার রাস্তা স্লোগানের স্বরে মুখরিত। জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) নিরাপত্তার দাবি নিয়ে কর্মবিরতি ডেকেছিলেন। ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) মারধর করা হয়। ঘটনায় ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)।
বছর ছত্রিশের রঞ্জনা সাউ নামে এক মহিলাকে শুক্রবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, হাসপাতালে রোগীর কোনও চিকিৎসা হয়নি। যার কারণে তাঁদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যখন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, সেই সময় রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তখন যা হওয়ার হয়ে গেছে। রোগী আর সাড়া দেয়নি। রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিযোগ করেন, রোগীর পরিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের ধাক্কা মারেন। চিকিৎসকদের ধাক্কা মারছে দেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা এগিয়ে যান। কিন্তু তাঁরাও আহত হন। ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী আহত হন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের এক কর্মী আহত হন।
ঘটনার পরেই ফের হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে রোগীর পরিবার হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকলেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন, এই ঘটনা থেকে ফের একবার প্রমাণিত হল, হাসপাতালে কোনও নিরাপত্তা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসপাতালে নিরাপত্তার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পালন করা হচ্ছে, ততক্ষণ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাবেন। হাসপাতালে নিরাপত্তায় যে গাফিলতি রয়েছে, স্বীকার করছেন স্বয়ং কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম প্রধান। তাই যে দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান করছেন, তাকে সমর্থন জানান।