নেপালে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার প্রভাব বিহার ও বাংলায় পড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। কোশী নদীর বাঁধ (Flood Situation) ছয় লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে। পাঁচ লক্ষ কিউসেক হারে গণ্ডকের বাঁধ জল (Flood Situation) ছাড়ছে। তাতেই অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এর জেরে বিহারে বন্যা (Flood Situation) অনিবার্য। তার প্রভাব (Flood Situation) বাংলায় পড়তে পারে।
নেপালে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বন্যায় (Flood Situation) ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৪৪ জন। গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলহারের জল আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুজোর আগে নতুন করে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পার্ব্যত্য অঞ্চলে এবং সিকিমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হয়েছে। যার জেরে ডুয়ার্সে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিকিম, ভুটানের প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের সমতল ভাসতে পারে বলে অশঙ্কা করা হয়েছে।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকায় ধস নামছে। ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তিস্তার ব্যারেজ। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে জারি লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বর্তমানে অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে মহালয়ার পর থেকে আবহাওয়া বদলাতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলো থেকে লক্ষী পুজো পর্যন্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে কলকাতায় এখন আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মিলতে পারে। কখনও চড়া রোদ আবার কখনও ঘন কালো মেঘের চাদড়ে ঢাকা পড়তে পারে আকাশ। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এখনও বেশি। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজয়া থাকবে। আপাতত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ কমবে। সামনের সপ্তাহের মাঝে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।