চিকিৎসক নির্মল মাজিকে (Nirmal Maji) ক্লিনচিট দিল এমপি-এমএলএ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্মল মাজির (Nirmal Maji) ১০ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারতো। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে তাঁকে (Nirmal Maji) নিঃশর্ত মুক্তি দিল এমপিএমএলএ আদালতের বিচারক দেবদত্ত রায় শর্মা।
প্রসঙ্গত, নির্মল মাজির (Nirmal Maji) বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ৪৩৪ ধারায় আর্থিক দুর্নীতি ও জালিয়াতির মামলা রজু করা হয়েছিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক নির্মল মাজির (Nirmal Maji) বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি থাকার সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের পাবলিক ফার্ম ব্যবহার করতেন। ২০১৮ সালে নির্মল মাজির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। নির্মল মাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। সোমবার সশরীরে হাজিরা দেন নির্মল মাজি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকায় নির্মল মাজিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয় আদালত।
উল্লেখ্য এর আগে ২০১৫ সালের জুন মাসে এসএসকেএম-এর নেফ্রোলজি বিভাগে কুকুরের ডায়ালিসিস-কাণ্ডে নাম জড়ায় নির্মল মাজির। অভিযোগ তৎকালীন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি তাঁর এক আত্মীয়ের কুকুরের ডায়ালিসিসের জন্য এসএসকেএমে ডায়ালিসিস বিভাগে সমস্ত ব্যবস্থা পাকা করে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে নির্মল মাজির নাম জড়িয়ে গিয়েছে। সরাসরিভাবে নির্মল মাজির নাম না জড়ালেও নির্মল মাজির একাধিক ঘনিষ্ঠকে ঘটনার দিন আরজি করের সেমিনার হলে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন আরজি করের সেমিনার হলে যাঁদের দেখতে পাওয়া গিয়ছিল, তারা ইতিমধ্যে সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছে। আজকে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে সিবিআই কী স্টেটাস রিপোর্ট দেয়, সেই দিকে সকলের চোখ রয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্টের আবেদন করবে।