যাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদেরকে সাসপেন্ড করতে হবে (Supreme Court)। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে এমনই দাবি করলেন আইনজীবী। সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী (Supreme Court) , জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী এই দাবি করেন বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকদের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বলেন, “সিবিআই-এর রিট পিটিশনে যাদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তারা অনেকেই ক্রাইম সিনে ছিলেন। এদের অনেকেই এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন। যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে এদের সাসপেন্ড করা উচিত।”
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা এখনও পর্যন্ত আরজিকরের কর্তৃপক্ষের পদ মর্যাদায় রয়েছেন। যতক্ষণ তাঁরা আছেন ততক্ষণ ভয়-ভীতি ছাড়া কীভাবে কাজ করা সম্ভব? তাঁদের সাসপেন্ড করার আবেদন জানাচ্ছি।” যদিও এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সাত জনের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা টেন্ডার প্রসেস এবং পরীক্ষা নেওয়ার প্রসেসের মধ্যে যুক্ত রয়েছেন।”
ক্রাইম সিনে কারা ছিলেন, সেই নাম আছে বলে এদিন আদালতে দাবি করলেন জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি বলেন, ক্রাইম সিনে কারা ছিলেন, তাঁদের নাম তিনি প্রকাশ্যে বলতে চান না। মুখবন্ধ খামে জমা দিতে চান। এদিকে, হাসপাতালের পরিকাঠামোগত কাজে এত দেরী হচ্ছে, কেন সেই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় রাজ্যকে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো বলা হয়, এতদিন কাজ মাত্র ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। যদিও আগের শুনানিতে রাজ্যের তরফে বলেছিল, ১৫ দিনের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হবে।