MUDA Scam Case: ইডির র‍্যাডারে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী! মুডা কেলেঙ্কারিতে পিএমএলএ-এর অধীনে এফআইআর দায়ের

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (MUDA Scam Case) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, কর্ণাটকের লোকায়ুক্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অন্যান্য ধারার মামলা দায়ের করেছিলেন।

Karnataka CM Siddaramaiah Likely To Be booked By ED In MUDA Case - Oneindia  News

একটি বিশেষ আদালতও পুলিশকে মামলা দায়ের (MUDA Scam Case) করার নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে যে, ২০১১ সালে মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে ১৪টি আবাসন সাইট দিয়েছিল। এখন শীঘ্রই ইডি অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করে তদন্ত করতে পারে।

এই মামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, “মুডা মামলাটি (MUDA Scam Case) আইন অনুযায়ী লড়াই করা হবে। এই প্রথম আমার পক্ষে জনসমর্থনের ভয়ে বিরোধীরা আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করেছে। ন্যায়বিচার আমার পক্ষে, আমি এর মুখোমুখি হব এবং জিতব।”

ED likely to book Karnataka CM Siddaramaiah in 'MUDA scam': Report | Latest  News India - Hindustan Times

তিনি বলেন, “গত নির্বাচনে আমাদের সরকার জনগণের আশীর্বাদ পেয়েছে এবং সেই অনুযায়ী আমরা ভালোভাবে শাসন করছি। এই পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যের উন্নয়ন করাই হল দায়িত্ব। রাজ্যপালের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়, যদি এতে হস্তক্ষেপ করা হয়, তাহলে আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।”

কর্ণাটকের মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এম. ইউ. ডি. এ) উন্নয়নমূলক প্রকল্পের (MUDA Scam Case) সময় জমি হারিয়েছেন এমন লোকদের জন্য ২০০৯ সালে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় উন্নত জমির ৫০ শতাংশ জমি হারানো মানুষদের দেওয়া হবে। সুতরাং, এই স্কিমটি ৫০:৫০ হিসাবে পরিচিত হয়েছিল।

২০২০ সালে বিজেপি সরকার এই প্রকল্পটি (MUDA Scam Case) স্থগিত করে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রীর ৩ একর এবং ১৬ গুন্টা জমি এই মুডার উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়, কিন্তু এই জমি অধিগ্রহণ না করে দেবানুর উন্নয়ন প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়টি তৈরি করা হয়েছিল।