আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। বিস্ফোরক দাবি করলেন আইজীবী। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের শুনানি হয়। আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ থেকে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য পাচার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এজলাসে এই বিষয় (RG Kar) নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই।
সোমবার শেষ বেলায় সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) শুনানি ওঠে। এদিন শুনানি চলাকালীন এক আইনজীবী অভিযোগ করেন, আরজি কর কাণ্ডে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। এর আগেও রানাঘাটের এক চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আরজি করের যোগ পাওয়া গিয়েছিল। রানাঘাটের চিকিৎসক চন্দন সেনের খুনের ঘটনার সময় বাংলাদেশে ওষুধ পাচারের ঘটনাটি সামনে আসে। ওই আইনজীবী বলেন, “আমার কাছে সেই মামলায় আদালতের নির্দেশের কপি রয়েছে। আরজি করের ঘটনায় বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বাংলাদেশে পাচার হয়েছে বলে সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে।”
প্রসঙ্গত, এরপরেই রাজ্যের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, তদন্ত চলাকালীন এই বিষয়ে মন্তব্য করা বা আদালতে আলোচনা করে ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই বিষয়ে সহমত হন। আরজি করে দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বাংলাদেশে বিক্রি করে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বর্জ্য ঠিক মতো প্রক্রিয়াকরণ না হলে ভয়াবহ সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার আরজি কর কাণ্ডে শুনানির সময় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়। সেই চিঠি জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দেন। এর আগে সিবিআইকে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা একটি চিঠি লিখেছিল। সেই চিঠি সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, এই চিঠিতে নির্যাতিতার বাবার যে উদ্বেগ রয়েছে তা অমূলক নয়। সিবিআইকে চিঠির অভিযোগের ভিত্তিতে যে লিড রয়েছে, সেগুলোর ওপর কাজ করতে বলা হয়েছে।