ফের কর্মবিরতিতে গেলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রশিক্ষণাধীন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পর, কর্মস্থলে চিকিৎসকদের (Junior Doctors) নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণ কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা(Junior Doctors)। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রতিশ্রুতির পর তাঁরা (Junior Doctors) কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু একের পর এক মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলা, নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে হওয়ার কারণে নতুন করে কর্মবিরতি শুরু করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ১ অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা পাঁচ দফা দাবি তুলেছিলেন। এই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছিলেন। এই বিষয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠক করেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা ১০ দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সেই ১০ দফা দাবির মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকরা দুর্নীতির কারণে বর্তমান স্বাস্থ্য সচিবকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা প্রদর্শন করার জন্য ডিজিটাল মনিটর স্থাপন করার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য কলেজগুলিতে টাস্ক ফোর্স গঠন করার এবং দুর্নীতি এবং অপরাধ মোকাবিলা করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে একটি কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা প্রয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
ধীর গতিতে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা হতাশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, এই ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ভয়ের পরিবেশ দূর করতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। যাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা এখনও নিজের পদে রয়েছেন। যার জেরে জুনিয়র চিকিৎসকরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।