মহালয়ার দুপুরে আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িতে হাজির হলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তিন তদন্তকারী আধিকারিক নির্যাতিতার (RG Kar) বাড়ি যান। সেই সময় নির্যাতিতার বাড়ির (RG Kar) বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। বেশ কিছুক্ষণ নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্যাতিতার বাবার (RG Kar) লেখা চিঠিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সিবিআই। সেই চিঠির বয়ানের সঙ্গে সিবিআই যে তথ্যসূত্র হাতে পেয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই সিবিআই নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নির্যাতিতার বাবা একটি চিঠি লেখেন। সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে নির্যাতিতার বাবা একাধিক বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, কী কারণে তাঁর উদ্বেগ হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সিবিআই সেই চিঠি পেশ করে। পাশাপাশি সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট দেয়। স্টেটাস রিপোর্ট পড়ে ও নির্যাতিতার বাবার চিঠি পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড় শিহরিত হয়ে ওঠেন। তিনি পরিষ্কার বলেন, নির্যাতিতার বাবার উদ্বেগ অমূলক নয়। পাশাপাশি সিবিআইকে বলেন, নির্যাতিতার বাবার চিঠিতে অনেক লিড রয়েছে। সেগুলো যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। সেই চিঠির ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। একাধিক জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তবে চিঠির বিষয়ে নির্যাতিতার বাবার কাছে সিবিআইয়ের বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। সেই বিষয়ে জানতেই নির্যাতিতার বাড়ি সিবিআই এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা দেড় ঘণ্টা বাদে বেড়িয়ে যান।
মঙ্গলবারই নির্যাতিতার বাবা মন্তব্য করেন, যেভাবে সকলে এই আন্দোলনে তাঁদের পাশে রয়েছেন, তাঁরা বিচার পাবেন বলেই আশাবাদী। আগামী ১৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। সেদিন সিবিআই-এর তরফে আদালতে কী পেশ করা হয়, সেটার দেখার। অন্যদিকে, মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা বলেন, ১৪০ কোটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। শুধু আমার মেয়ের বেঁচে থাকার অধিকার ছিল না। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমরা বুঝতে পারিনি আরজি কর রাক্ষস। আমার মেয়েটাকে গিলে খাবে।”