মহালয়ার দিন আগেই জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে(Junior Doctors) সাড়া দিয়ে যেমন সিনিয়র চিকিৎসকরা এসেছেন, তেমনি এসেছেন সাধারণ মানুষ। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা অবধি এই মিছিল (Junior Doctors) যাবে। এই মিছিলে কলকাতার রাস্তা কার্যত জনসমুদ্রের আকার ধারণ করেছে। মিছিলের শুরুর দিকে যেমন রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা(Junior Doctors) , সিনিয়র চিকিৎসকরা। তবে মিছিলের বাকি অংশ জুড়ে শুধু সাধারণ মানুষ।
চিকিৎসকদের এই মিছিলের ডাকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এসেছেন। একদিকে যেমন এসেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা, তেমনি প্রযুক্তি বিভাগের অনেক কর্মীরাও এই মিছিলে হাজির হয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা নতুন করে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। তাঁরা নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন। সেই দাবির পরেই নতুন করে কর্মবিরতিতে গেছেন।
তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের আগের বারের কর্মবিরতিকে যেভাবে সিনিয়র চিকিৎসকরা সমর্থন করছিলেন, দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতিকে সিনিয়র চিকিৎসকরা করছেন না। তাঁদের মত, জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ, আন্দোলন করে যেতে হবে।
চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা যেমন কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার আন্দোলনে আছি। জুনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শ দিচ্ছি, কর্মবিরতি ওঁরা একটা পর্যায় করেছেন। সেই সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা সেটার ঘাটতি পূরণ করার জন্য বাড়তি কাজ করেছেন। রাজ্যের গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। সরকার কৌশল নিচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রাজ্যের গরিব মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়া। সেই সময় আমাদেরও একটু কৌশল করা দরকার যে, কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপ না করে, কাজ করে কীভাবে রাস্তার আন্দোলনকে তীব্রতর করা যায়।”
অন্যদিকে, এই উত্তাল আবহের মধ্যেই আরজি করের প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনে নির্যাতিতার আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা বিচার পাবোই। আমরা বিচার ছিনিয়ে আনবই। কিন্তু যাতে কোনওদিন নির্যাতিতাকে না ভুলি, সেই কারণে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।