বুধবার বাঁশদ্রোনীতে ছাত্র মৃত্যুর গ্রেফতারির দাবিতে রাতভর বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বসে ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। সকালে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে (Rupa Ganguly) গ্রেফতার করে পুলিশ। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)-এর গ্রেফতারিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডার এক নবম শ্রেণির ছাত্রকে পিষে মেরে ফেলে। এরপরেই বাঁশদ্রোনী এলাকা রণক্ষেত্রের আকার নেয়। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রশাসন-কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করে। পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। তাঁকে কাদা জলে নামিয়ে বিক্ষোভ দেখান মানুষ। এক কনস্টেবলকে কিল, চড়, ঘুষি মারার অভিযোগ ওঠে।
কাউন্সিলর এলাকায় না আসায় ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে। দুপুরের পর হঠাৎই করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর বহিরাগত হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের পুলিশ সাহায্য করেছে। বহিরাগত দুষ্কৃতীরা যখন হামলা করে পুলিশ তখন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা আসেন পরিস্থিতি সামাল দিতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনার পর অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয় বিজেপি নেত্রী রুবি দাস থানার বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। তাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি নেত্রীর মুক্তি, ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রূপা গঙ্গোপাধ্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি পুলিশকে চরম অমানবিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারির পর রূপা বলেন, “আমি রাতে বারবার বলেছিলাম, বাথরুমে যাব। কিন্তু সেটাও যেতে দেয়নি ওরা। চরম অমানবিকতা। আমাকে আমার সিআরপিএফ ছাড়া নিয়ে যেতে পারে না।”
রাজ্য বর্তমানে অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি বাঁশদ্রোনীর সাধারণ মানুষের স্থানীয় প্রশাসনের ওপর এই রাগ যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।