মহালয়ার দিন মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। সেই মহামিছিল বুধবার কার্যত জন সমুদ্রের আকার ধারণ করেছিল(Junior Doctors) । এই পরিস্থিতি জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) জানান, এই মিছিল প্রমাণ করে দিচ্ছে চিকিৎসক আর সাধারণ মানুষ এক পক্ষে রয়েছেন। আর অন্য পক্ষে সরকার রয়েছেন। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) তাঁদের আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তনের কথা বলেন। বলেন প্রয়োজন পড়লে তাঁরা দিল্লি যাবেন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতি জুনিয়র (Junior Doctors) ও সিনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের কথা রয়েছে। সেই বৈঠক থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম দফায় জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) কর্মবিরতির ডাক দিলেও তা পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন করতে অতিরিক্ত কাজও করেছিলেন। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতিকে পুনরায় ভেবে দেখার আহ্বান জানান জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। এই পরিস্থিতি জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতি শুরু করেন। আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “মানুষকে জানতে হবে, দিনের শেষে আমরাও মানুষ। তো আমাদেরকে মেরে যদি সব ঠিক করা যায় তাহলে এটার কোনও মানে নেই। যতদিন ডাক্তারের উপরে এরকম হাত উঠবে ততদিন ডাক্তার মারা যাবে, ততদিন এরকম আন্দোলন চলবে।” একই মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে মানুষের কথা মনে রাখার পরামর্শ দিলেন সিনিয়ররা। চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, “রাজ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষ সরকারি ওপর ভরসা রাখে। দাদা হিসেবে বলবো, তাঁদের কথা ভুলো না।”
অন্যদিকে, বুধবার আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, রাজ্যে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে, হুমকিশ্রী, ফোঁসশ্রী। যারা হুমকি দিচ্ছেন, তাদের জেলশ্রী প্রকল্পে জেলে ঢোকানোর দাবি জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। বলেন, “রোগী-চিকিৎসক সবাই এক পক্ষে রয়েছে। আর সরকার অন্য পক্ষে। সরকার ঠিক করুক তারা অন্য পক্ষেই থাকবে নাকি এই পক্ষকে মেনে নেবে।”