আরজি কাণ্ডের (RG Kar) দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার হলেন টিএমসিপ-র নেতা আশিষ পাণ্ডে। আরজি করের (RG Kar) টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন আশিষ পাণ্ডে। আর্থিক দুর্নীতি ও তরুণী চিকিৎসক হত্যা মামলায় সিবিআই প্রায় ১৪ বার ডেকে পাঠায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আশিষ পাণ্ডে (RG Kar) একাধিক বিষয়ে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়নি। একাধিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যেখানে সহজেই প্রমাণিত হয় টেন্ডার দুর্নীতি (RG Kar) মামলায় সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে আশিষ পাণ্ডের যোগাযোগ ছিল। আরজি করের (RG Kar) দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরজি করে দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। টেন্ডার সহ একাধিক দুর্নীতি রয়েছে। সেই দুর্নীতিতে আশিষ পাণ্ডের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর। অন্যদিকে, আরজি করের থ্রেট কালচারেও আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। থ্রেট কালচার, আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক হত্যা যুক্ত বলেই কেন্দ্রীয় সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে। ৯ আগস্ট ঘটনার দিন আরজি করের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলে আশিষ পাণ্ডেকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
অন্যদিকে, আরজি করে একটি বিশেষ কমিটি থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল। সেখানে বেশিরভাগ অভিযোগ আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে ছিল। থ্রেট কালচারের তদন্তের শুনানির সময় ২৫ সেপ্টেম্বর আশিষ পাণ্ডে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু আশিষ পাণ্ডেকে দেখেই জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের একাংশ তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন আশিষ পাণ্ডে।
আশিষ পাণ্ডের গ্রেফতারের বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, সিবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে খুশি। থ্রেট কালচারের একটা বড় মাথা ছিল আশিষ পাণ্ডে। আগে যখন জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি করের অভ্যন্তরে আন্দোলন করেছিলেন, সেই সময় আশিষ পাণ্ডের নাম উঠে এসেছিল। নানাভাবে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা ভয় দেখিয়ে সেই আন্দোলনকে উঠিয়ে দেন। তারপর থেকে আশিষ পাণ্ডের অত্যাচার মাত্রা ছাড়া হয়ে ওঠে। ফেল করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ আশিষ পাণ্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা মনে করছেন, আশিষ পাণ্ডের মতো আরও কয়েকটা বড় মাথা রয়েছে, যাদের দ্রুত গ্রেফতার করা প্রয়োজন।