আরজি করে জুনিয়র চিকিৎকদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা (Calcutta High Court) করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর আগে আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ উঠেছে, কর্মবিরতির জন্য বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক (Calcutta High Court) রোগীর। এবার সেই ইস্যুতেই মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) ।
আবেদনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, এই কর্মবিরতি বেআইনি। অবিলম্বে জুনিয়র চিকিৎসকদের নির্দেশ দিতে হবে সরকারকে বলে হাইকোর্টে জানানো হয়েছে। মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আগামিকাল, শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের এজলাসে উত্থাপন করা হবে। আবেদনে জানানো হয়েছে, আন্দোলন করা যেমন চিকিৎসকদের অধিকার, তেমনি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের। সেই দায়িত্ব নিতেই তাঁরা শপথ গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে এই আন্দোলনের জন্য যে আর্থিক অনুদান আসছে, তা নয়ছয় হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে মামলায়। সেই অর্থ হিসেব নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।
প্রথম দফায় জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতির পর আংশিকভাবে কাজে যোগ দেন। কিন্তু তারপর একের পর এক ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সাগর দত্তে এক রোগীর মৃত্যু পর হাসপাতাল চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। রোগীর পরিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধর করে। তারপর জুনিয়র চিকিৎসকরা নতুন করে কর্মবিরতি বসেন। তবে সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ সরাসরি জুনিয়র চিকিৎসকদের নতুন করে কর্মবিরতিকে সমর্থন করছে না। সিনিয়র চিকিৎসকরা জানছেন, কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন করা প্রয়োজন। আমাদের রাজ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। তাই তাঁদেরকে বিপাকে ফেলা যায় না বলে সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন।
তবে আন্দোলনের গতিপথ কোন দিকে যাবে? জুনিয়র চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আরজি করের একাধিক সিনিয়র চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা কী সিদ্ধান্ত নিলেন, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।