জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors protest) অনশন মঞ্চ বাঁধতে এসে পুলিশের বাধার ডেকরটর্সের কর্মীরা। ডেকরটর্সের কর্মীদের অনশন মঞ্চ বাঁধতে দেয়নি পুলিশ বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors protest) অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার সন্ধে থেকে ধর্মতলায় অবস্থান চালায় জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors protest) । শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে ত্রিপল খুলে যায়। সেই সময় ডেকরটর্সের কর্মীদের মঞ্চ বাঁধার জন্য ডেকে পাঠানো হয়(Junior doctors protest) । কিন্তু পুলিশ ডেকরটর্সের কর্মীদের মঞ্চ বাঁধতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে(Junior doctors protest)।
শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors protest)অবস্থান মঞ্চ দুর্বল হয়ে যায়। ত্রিপলে জল জমে যাওয়ার কারণে ত্রিপল ফুটো হয়ে যায়। অন্যদিকে, জমা জলে ভাসতে থাকে অবস্থান মঞ্চ। এরমধ্যে সাউন্ড সিস্টেম ভিজে গেলে শর্ট সার্কিটের একটা আশঙ্কা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে বাঁশের ওপর উঠে জমা জল ফেলতে চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় এক প্রবীণ নাগরিক ছাতা মাথায় এসে তাঁদের সাহায্য করেন। মঞ্চ ধরে রাখার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।
এখানেই শেষ নয়, আন্দোলনকারীদের কাছে বাঁশ ঢুকতেও বাধা দেয় পুলিশ। এই সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ বাঁশ বহনকারী টেম্পো যাতে যেতে না পারে পুলিশ সিগন্যালে আটকে রাখে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে উপস্থিত গাড়ির হর্ন বাজিয়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দেন। ফুটপাথে হাতে করে বাঁশ নিয়ে যেতে গেলে পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ। অন্য পথ ধরে মহিলা নাগরিকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের খুঁটি অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে দেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, সবার আগে মহিলারা জুনিয়র চিকিৎসকদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। পুলিশি বাধা ভাঙতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনের মতো মেট্রো চ্যানেলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ক্রমাগত অক্সিজেন জুগিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ নাগরিকরা। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার বলেন, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন এখন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে।