দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় চলছে অনশন (RG Kar)। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত জন অনশন করছেন। এবার আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে আরজি কর (RG Kar)মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে তাঁরা (RG Kar) এই বার্তা দিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই সিনিয়র চিকিৎসকরা গণইস্তফার (RG Kar) কথা বলেছিলেন। এবার তা করে দেখালেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা (RG Kar) যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে এলেন, তখন জুনিয়র চিকিৎসকরা হাততালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানান।
একটি হাসপাতাল থেকে এতজন চিকিৎসক গণইস্তফা দিলে কীভাবে হাসপাতালে স্বাস্থ্যব্যবস্থা চলবে? একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জানা গিয়েছে, তাঁরা ইস্তফা দিলেও নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রাণের বাজি নিয়ে অনশন শুরু করেছেন। কিন্তু বার বার তাঁদের আন্দোলনকে চেপে দেওয়ার জন্য প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে। অনশন নিয়ে, চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে অনেক কটূক্তি করা হয়েছে। যার জেরে সিনিয়র চিকিৎসকরা বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা একই পথে হাঁটতে চলেছেন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে একটি ইমেল করেছেন। জানা গিয়েছে, SSKM এর চিকিৎসকরাও গণইস্তফার পথে হাঁটতে পারেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনকে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত জন অনশনে বসেছেন। তাঁদের জন্য বায়োটয়লেট বসাতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তাতে পুলিশ বাধা দেয়। বার বার পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বচসা হয়। পরে অনুমতি ছাড়াই জুনিয়র চিকিৎসকরা বায়োটয়লেট বসান। অন্যদিকে, সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চৌকি, প্লাস্টিকের চেয়ার, টেবিল আনা হচ্ছিল। কিন্তু স্লো ভেইকেল, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে বউ বাজার থানার পুলিশ আটকে দেয়। প্রায় দুইঘণ্টা আটকে রাখার পর জুনিয়র চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষ কাঁধে করে চৌকি নিয়ে আসে। আজ সকালে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আনা পানীয় জল আটকে দেয় প্রশাসন।