নানাভাবে ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনে (Hunger strike) বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। আগে বায়োটয়লেট বসতে বাধা দিয়েছিল (Hunger strike)। তারপর চৌকি অনশন মঞ্চের (Hunger strike) কাছে আসতে বাধা দিয়েছিল। এবার পুলিশ অনশনকারীদের (Hunger strike) জন্য জলের গাড়ি প্রবেশ বাধা দেয়। পুলিশ ধর্মতলার আগেই জুনিয়র চিকিৎসকদের জলের গাড়ি (Hunger strike) আটকে দেয়। এরপর জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। এরপর ঘটনাস্থলে সাধারণ মানুষ ও সিনিয়র চিকিৎসকরাও উপস্থিত হয়। পুলিশ পরে জলের গাড়িটিকে (Hunger strike) ছেড়ে দিলে সিনিয়র চিকিৎসক আর সাধারণ মানুষ গাড়িটিকে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চের কাছে নিয়ে আসে। তাঁরা মানববন্ধন করে জলের গাড়িটি নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে, আরজি করে ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে তাঁরা এই বার্তা দিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই সিনিয়র চিকিৎসকরা গণইস্তফার কথা বলেছিলেন। এবার তা করে দেখালেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে এলেন, তখন জুনিয়র চিকিৎসকরা হাততালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানান।
একটি হাসপাতাল থেকে এতজন চিকিৎসক গণইস্তফা দিলে কীভাবে হাসপাতালে স্বাস্থ্যব্যবস্থা চলবে? একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জানা গিয়েছে, তাঁরা ইস্তফা দিলেও নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রাণের বাজি নিয়ে অনশন শুরু করেছেন। কিন্তু বার বার তাঁদের আন্দোলনকে চেপে দেওয়ার জন্য প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে। অনশন নিয়ে, চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে অনেক কটূক্তি করা হয়েছে। যার জেরে সিনিয়র চিকিৎসকরা বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা একই পথে হাঁটতে চলেছেন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে একটি ইমেল করেছেন। জানা গিয়েছে, SSKM এর চিকিৎসকরাও গণইস্তফার পথে হাঁটতে পারেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকার ও স্বাস্থ্যদফতরকে ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।
আজকেই বিকেল সাড়ে চারটে থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। কিন্তু পুজো হওয়ার কারণে ব্যাপক জানযটের সৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছয় নম্বর গেট থেকে পরবর্তীতে সেই মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।