জয়নগর মামলায় কল্যাণী এইমস-এর পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Calcutta High Court)। তিনি বলেন(Calcutta High Court) , এইমস-এর মতো একটি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার মতো পরিকাঠামো নেই কেন? পাশাপাশি তিনি (Calcutta High Court) বলেন, রাজ্যের এইমসের মতো হাসপাতাল থাকার পরেও মানুষ ভেলোরে কেন চিকিৎসার জন্য যাবে।
এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) তীর্থঙ্কর ঘোষ এইএমসে অপারেশন থিয়েটার আছে নাকি? থাকলে কটা অপারেশন হয়েছে তা জানতে চান। ময়নাতদন্তের অভিজ্ঞতা ছাড়া কীভাবে এমবিবিএস পাস করে একজন পড়ুয়া বের হয়, সেই নিয়েও হাইকোর্টে প্রশ্ন ওঠে। দিল্লির মতো না হোক, অন্তত হৃষিকেশ এইমস (AIIMS)-এর মতো পরিকাঠামো তৈরি করার কথা বলেন বিচারপতি ঘোষ।
জয়নগরে নয় বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরে জনগর উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। কাঁটাপুকুর মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত হয় না। নির্যাতিতার পরিবার হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন। তাঁরা বলেন, কোনওভাবেই তাঁদের মেয়ের ময়নাতদন্ত কোনও সরকারি হাসপাতালে করাতে চান না। তারপরেই AIIMS এরে বিশেষজ্ঞদের অধীনে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করার মামলায় বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে জয়নগর। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার বচসায় জড়াচ্ছেন। মঙ্গলবার নির্যাতিতার দেহ নিয়ে মিছিল করেন গ্রামবাসীরা। তখনই এসডিপিও গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন। গ্রামে ঢোকার মুখেই এসডিপিও-র গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান জয়নগরের গরানকাটি এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের গাড়ির চাবিও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, চটি হাতে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। এসডিপিও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও।
এই উত্তেজনার মধ্যেই গরানকাটিতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এই প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী বলেন, পুলিশের ওপর আমাদের কোনও রাগ নেই। কিন্তু পুলিশ আসলে সন্ত্রাসবাদীদের প্রটেকশন দিতে চাইছে। পুলিশ বলছে, আমাদের গাড়িতে রোগী আছে। তোমরা সরে যাও, না হলে গায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব। এই কথাতেই গ্রামবাসীরা ক্ষেপে যায় বলে বিক্ষোভকারীরা বলেন।