জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন অব্যাহত রয়েছে (JP Nadda)। জুনিয়র চিকিৎসকরা ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তারপরেই জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই পরিস্থিতি মহা সপ্তমীতে রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
সপ্তমীতে বাংলায় এলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (JP Nadda)নন। তিনি বাংলার জামাইও বটে। সপ্তমীর সকালে রাজ্যে এসে প্রথমেই বেলুড় মঠে যান জেপি নাড্ডা। এরপরেই তিনি বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতে যান। এদিন জেপি নাড্ডার সফরসঙ্গী ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতাতে আসার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “দুর্গাপুজোয় কলকাতায় আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। বাংলার সকল জনগণকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা। মা দুর্গার আর্শীবাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ন্যায়ের জিত হবে।” জেপি নাড্ডা এও বলেন, “পুজোর দিনে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করব না। বাংলায় ন্যায়ের জন্য লড়াই জারি থাকবে। অন্যায় শেষ হবে।”
যদিও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। কিন্তু অফিসিয়ালি উদ্বোধন সপ্তমীতে হয়। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করেন জেপি নাড্ডা। এদিন তিনি মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। যার জেরে চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের ওপর। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকতে সিনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্যকে কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে। রাজ্য জুড়ে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় দুই শতাধিক সিনিয়র চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ইস্তফাপত্র দিতে তাঁরা প্রস্তুত।