বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এবারে পুজোটা যেন একটু অন্যরকম। একদিকে মা দুর্গার যেমন পুজো হচ্ছে। তেমনি আরজি করে (RG KaR)নির্যাতিতার বিচার ও হাসপাতালের সুরক্ষার দাবিতে লাগাতার জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করে চলেছেন। ধর্মতলায় (RG Kar)সাত জন জুনিয়র চিকিৎসক ও উত্তরবঙ্গে দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে রয়েছেন। অন্যদিকে, নিজের বাড়ির উঠোনে মঞ্চ করে পঞ্চমী থেকে দশমী অবধি অনশনে বসছেন আরজি করে (RG Kar)নির্যাতিতার বাবা-মা। আরজি করে (RG Kar)নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে অষ্টমীর দিন যান অভিনেত্রী দেবলীনা। সেখানেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরজি করের বিচারের দাবিতে লাগাতার প্রতিবাদ করে চলেছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। জুনিয়র চিকিৎসক ও বা নাগরিক সমাজের একাধিক কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর জি করের নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। কাঁপা অথচ দৃঢ় গলায় বললেন, “এর শেষ দেখতেই হবে।” এদিন অর্থাৎ শুক্রবার জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মতলার বিক্ষোভ মঞ্চের সামনে মহা সমাবেশের ডাক দেন। সেখানে ব্যাপক জনসমাগম হয়। অন্যদিকে, সেই সময় টলিউডের একাংশ আরজি করে নির্যাতিতার বাড়ি যান। সেখানে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে আসেন। নির্যাতিতার বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত।
এদিন সাংবাদিকদের অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত বলেন, “ওঁদের কষ্ট দেখা যাচ্ছে না। এর শেষ দেখতেই হবে। আপনাদের সকলের কাছে আবেদন, এই লড়াই ছাড়বেন না। আরেকটা এমন ঘটনা যেন না ঘটে।” তিনি বলেন, “কে কী করছে বা করবে, জানি না। এটুকু জানি, আমরা এর শেষ দেখেই ছাড়ব। কে বলতে পারে, একদিন আমার নিজের ঘরেও এমনটা হবে। নিজেদের ঘরে আগুন লাগা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তো হবে না। যেভাবেই হোক, এর অন্তিম পর্যায় দেখতে হবে।” অন্যদিকে, শুক্রবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। সেখানে তিনি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন।