এবার গণইস্তফার হুমকি দিলেন আরামবাগে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। ধর্মতলায় আমরণ অনশরত জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) পাশে দাঁড়িয়ে এবার গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের ৩৮ জন চিকিৎসক (Junior Doctors Protest) গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আর জি কর কাণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের। গণ ইস্তফার হুমকি দিয়ে এবার স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠালেন চিকিৎসকরা। এর আগে ছটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা গণ ইস্তফার তালিকায় সই করেছেন। তারমধ্যে রয়েছে আরজি কর। আরজি করের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক সবার প্রথম গণইস্তফা দেন। এছাড়াও রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। তালিকায় আছে এস এস কে এম, জলপাইগুড়ি এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। এই প্রসঙ্গে আমার থেকে আরও অনেক বয়ঃজ্যেষ্ঠরা আছেন, যাঁরা তাঁদের পিতৃতুল্য, মাতৃতুল্য-তাঁরাও আর স্থির থাকতে না পেরে আমরা সমবেতভাবে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমরা একটা গণ ইস্তফা দিলাম।’
অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কনফারেন্স হলের বুকিং বাতিল হয়ে গেল শেষ মুহূর্তে। এই অভিযোগ উঠল ধর্মতলার একটি নামজাদা হোটেলের বিরুদ্ধে। বুকিংয়ের টাকা মেটাতে যাওয়ার সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ বুকিংটাই বাতিল করে দেন। তারা সাফ জানিয়ে দেন, কর্তৃপক্ষের বারণ রয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দোলন সংক্রান্ত কোনও ক্ষেত্রে তাঁরা হোটেল ভাড়া দিতে পারবেন না। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনশন মঞ্চ থেকে প্রেস কনফারেন্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পেন ডাউনের ঘোষণায় সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসকরা। সেই জন্য ধর্মতলার একটি হোটেল বুক করেন তাঁরা। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সেই বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ যশ বলেন, অভয়ার বিচারের দাবিতে এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবিকে সমর্থন করে বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে এবং ফেমার তরফ থেকে একটি কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেই হোটের ম্যানেজমেন্ট রাজি হলেও, পরে যখন আমি বুকিং ফিজটা জমা দিতে যাই, তখন ওদের ম্যানেজমেন্টের একজন সিনিয়র পার্সেন, এসে হাতজোড় করে আমাদেরকে বলেন, যে দেখুন আমরা ভেরি সরি। আমরা এই বিষয়ে আপনাকে হেল্প করতে পারব না। আমরা কারণ জিজ্ঞেস করতেই, তাঁরা বলেন, কলকাতা পুলিশের তরফে কড়াভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, আন্দোলন সম্পর্কিত কোনও পোগ্রাম নাকি ওনাদের হোটেলে করা যাবে না।’