জুনিয়র চিকিৎসকরা বার বার নিরাপত্তার দাবি করেছেন। ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা আমরণ অনশন করছে (Bankura Medical College)। নিরাপত্তার দাবি যে কতটা প্রাসঙ্গিক, ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল(Bankura Medical College)। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের (Bankura Medical College)লেডিজ হোস্টেলের শৌচালয়ে ঢুকে পড়ল যুবক। তাঁকে দেখা গেল অশালীন অবস্থায়। এর আগেও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের (Bankura Medical College) লেডিজ হোস্টেল নিরাপত্তার মুখে পড়েছিল।
আগের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৩ অগাস্ট। সেদিন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের লেডিজ হস্টেলের পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি। তার মুখে ছিল কালো কাপড়। সেই ঘটনাকে ঘিরে মেয়েদের হস্টেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । অভিযোগ, এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের দিকে তেড়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। আবারও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। পুজোর মধ্যেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হোস্টেলের শৌচালয়ে কীভাবে এক যুবক প্রবেশ করল, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এক যুবক প্রথমে নিজেকে আবাসিক পড়ুয়ার অভিভাবক পরিচয় দিয়ে একাধিকবার হস্টেলে ঢোকার চেষ্টা করে সে। কিন্তু হোস্টেলের গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা বার বার ওই যুবককে বাধা দেয়। পরে ওই নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে হস্টেলের মেন গেট দিয়ে যুবক ঢুকে পড়ে হস্টেলের দোতলার একটি শৌচালয়ে। এক আবাসিক চিকিৎসক পড়ুয়া শৌচালয়ে গেলে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। ভয় পেয়ে ওই আবাসিক শৌচালয় থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করতে থাকেন। অন্যান্য আবাসিকরা শৌচালয়ের সামনে চলে আসেন।
যুবক ভয় পেয়ে শৌচলায়ের দরজা ভিতর দিক থেকে বন্ধ করে দেয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ শৌচালয়ের দরজা ভেঙে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ঘটনার খবর পেয়ে লেডিজ হোস্টেলে ছুটে যান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু।
ঘটনার পর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হোস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। । দুমাসের মধ্যেই এই ধরনের দু – দুটি ঘটনা ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। মহিলা আবাসিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ঘটনার পর হস্টেলে গেলে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান আবাসিকরা।