শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অনশনকারী (Hunger Strike) জুনিয়র চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি (Hunger Strike) করা হয়। অসহ্য পেটের যন্ত্রণা, কালো পায়খানা, রক্তক্ষরণ নিয়ে হাসপাতালে (Hunger Strike) ভর্তি করা হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউতে (Hunger Strike) ভর্তি করা হয়েছে। আট সদস্যের চিকিৎসকদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা শনিবার রাতে জানান, সুগার লেভেল একেবারে কমে গেছে। পাশাপাশি, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ কমে গিয়েছে। রাতে সেগুলোর দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়। রবিবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্টুপের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও কিছুটা স্থিতিশীল। রাতের থেকে পেটের যন্ত্রণা কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি দেহে শর্করার পরিমান, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনও স্বাভাবিক আসেনি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রক্তক্ষরণ হয়নি। তবে এন্ড্রোস্কোপি করা হবে। কেন রক্তক্ষরণ বা কালো পায়খানা হচ্ছে, তা দেখা হবে। অনুষ্টুপের ইউরিনে কিটোন বডির মাত্রা তিনের বেশি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরণ অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসককে রক্ত দেওয়া হবে কি না, তা আজ স্থির করবেন চিকিৎসকেরা।তার আগে নতুন করে এবিজি, সিবিসি-র মতো একাধিক রক্তপরীক্ষা করার পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাসিয়াম- ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বুকের এক্স-রে’র পাশাপাশি তলপেটের এক্স-রে করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে চিকিৎসকদের।
মেডিক্যাল কলেজেই অনুষ্টুপ পড়াশোনা করছেন। তাঁর অধ্যাপকরা রবিবার সকালে দেখা করতে আসেন। অনুষ্টুপ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্টুপের বাবা এদিন মেডিক্যাল কলেজে এসেছেন। ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের অসম্ভব মনের জোর। এখনও সেই জোর অটুট রয়েছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, এই মনের জোর অনুষ্টুপকে দ্রুত সুস্থ করে তুলবে। অনিকেত মাহাতো আরজি করে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে অনিকেতের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।