আরজি করে প্রাক্তনীদের প্রতীকী অনশনে (Hunger Strike) বাধা দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। CISF-এর জওয়ানরা নিরাপত্তার কারণে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে প্রাক্তনীদের অনশনে (Hunger Strike) বসতে বাধা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের (Hunger Strike) ডাক দেন আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তনীরা।
আরজি করের প্রাক্তনীরা জানান, প্রথমে ১৪ জন প্রাক্তনী এই প্রতীকী অনশনে বসবেন বলে জানান। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। আরজি করের প্রায় ১৬ জন প্রাক্তনী প্রতীকি অনশন করছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ১২ ঘণ্টার বদলে তাঁরা ২৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে আর জি কর হাসপাতালের অনশন মঞ্চে কর্মসূচি করার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে বাধা দেয়। প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের সামনে সরে আসেন আরজি করের প্রাক্তনীরা বলে জানা গিয়েছে।
আর জি করের প্রাক্তনীদের CISF জানায়, নিরাপত্তা জনিত কারণে হাসপাতাল চত্বরে কর্মসূচি করা যাবে না। এর পাল্টা প্রাক্তনীরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে অনশন করবেন তাঁরা। কোনও রকম চিৎকার, স্লোগান উঠবে না। এর পর কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েক জন আধিকারিকও এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। সেখানে অনশনে বসা যাবে না বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, সাতদিন পেরিয়ে গিয়েছে, অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিন জন জুনিয়র চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতেই বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা শনিবার রাতে জানান, সুগার লেভেল একেবারে কমে গেছে। পাশাপাশি, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ কমে গিয়েছে। রাতে সেগুলোর দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়। রবিবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্টুপের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও কিছুটা স্থিতিশীল। রাতের থেকে পেটের যন্ত্রণা কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি দেহে শর্করার পরিমান, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনও স্বাভাবিক আসেনি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রক্তক্ষরণ হয়নি। তবে এন্ড্রোস্কোপি করা হবে। কেন রক্তক্ষরণ বা কালো পায়খানা হচ্ছে, তা দেখা হবে। অনুষ্টুপের ইউরিনে কিটোন বডির মাত্রা তিনের বেশি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরণ অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসককে রক্ত দেওয়া হবে কি না, তা আজ স্থির করবেন চিকিৎসকেরা।তার আগে নতুন করে এবিজি, সিবিসি-র মতো একাধিক রক্তপরীক্ষা করার পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাসিয়াম- ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বুকের এক্স-রে’র পাশাপাশি তলপেটের এক্স-রে করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে চিকিৎসকদের।