নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ সপ্তাহে দুইদিন করে লকডাউন চলছে। বেশ কড়াকড়িও চলছে তাতে। কিন্তু এতে সংক্রমণে বেড়ি পরেছে, এমন কোনও ইঙ্গিত মিলছে না পশ্চিমবঙ্গে। বৃহস্পতিবারও একই চিত্র। ফের বাড়ল অ্যাক্টিভ কেস। একই দিনে মারা গেলেন ৪৬ জন করোনায়।
গত কয়দিনে প্রতিদিন গড়ে হাজার দুয়েকের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলায় মোট আক্রান্তের হিসাবে ৬৫ হাজারের মাইলস্টোনও পেরিয়ে গেছে। কিছুদিন আগে এই সংখ্যার কিছুটা হ্রাস হয়েছিল। তবে আবার বাড়তে চলেছে এই সংখ্যা।
এদিন নতুন করে ২,৪৩৪ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। আশঙ্কায় মেঘ থেকে যাচ্ছে রাজ্যবাসীর মাথার ওপর। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আতঙ্ক। এই নিয়ে সুপ্রিম নোটিশও পেয়েছে রাজ্য। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের৷ তবে নতুন করে ছাড়া পেয়েছেন ২,১৪০ জন৷
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৮,০৪২ টি টেস্ট হয়েছে৷ ফলে এই পর্যন্ত মোট টেস্ট হয়েছে ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৯৭ জনের৷ প্রতি মিলিয়নে ৯,৭১৬ জন৷ যা শতাংশের হিসেবে ৭.৭৪ শতাংশ৷ বর্তমানে রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫৭ টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ১৯,৯০০ জনের৷ রাজ্যের মোট ৮৩ টি কোভিড হাসপাতলে ১১,২৯৯ টি বেড রয়েছে আইসিইউ বেড আছে ৯৪৮টি। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৩৯৫টি।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত বাংলায় ৮ লক্ষের বেশি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের তরফে প্রতিদিন ১০ হাজার করোনা পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে আমফান। তারপরও প্রতিদিনের হিসেবে ১০ হাজার পরীক্ষা করিয়ে আসছে রাজ্য। তারই প্রতিফলন এই ৮ লক্ষের মাইলস্টোন।
প্রসঙ্গত গত বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে করোনার পজিটিভ হচ্ছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “করোনা বেড়েছে ভয় পাবেন না। টেস্ট বাড়লে আক্রান্ত বাড়বে। করোনা চিকিৎসায় ১৮ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ আগস্টের মধ্যে টেস্ট বাড়ানো হবে। দৈনিক ২৫ হাজার টেস্টের লক্ষ্য মাত্রা আছে। রাজ্যে মৃত্যুর হার আরও কমাবো।”
এছাড়াও করোনা রুখতে রাজ্যে সপ্তাহে দুদিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। কঠোর হাতে এই লকডাউন রুখবে পুলিশ-প্রশাসন। পুরো অগাস্ট মাস জুড়ে রাজ্যে জারি লকডাউন। পরের মাসে নয়দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন মমতা।