ধর্মতলায় একদিকে চিকিৎসকরা (RG Kar) দ্রোহের কার্নিভাল ডেকেছিলেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা (RG Kar) মানবন্ধনের ডাক দিয়েছিলেন। ধর্মতলায় এই জোড়া (RG Kar) কর্মসূচিতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন। অন্যদিকে রেড রোডে ব্যাপক পুজো কার্নিভাল হয়। যার জেরে ধর্মতলায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজট কন্ট্রোল করতে (RG Kar) কলকাতা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় আধিকারকদের সঙ্গে যান ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
অভিযোগ ওঠে, ডিসি সেন্ট্রাল ধর্মতলায় মানবন্ধনে বাধা দেন। অন্যদিকে, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে দেখেই সাধারণ মানুষ গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত সাংবাদিক সম্মেলনের কথা তুলে কটাক্ষ করতে থাকেন। প্রসঙ্গে আরজি করে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে একাধিক ব্যক্তিকে দেখতে পাওয়া যায়। চিকিৎসক মহল থেকে সাধারণ মানুষ তাঁদের বহিরাগত বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই সময় তাঁদের পরিচয় সামনে এনেছিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু যে পরিচয় সামনে এনেছিলেন, দেখা যায় তা ঠিক নয়। তারপরেই প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়েন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও সেক্ষেত্রে পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, দ্রোহের কার্নিভাল পালন করা শাঁখ বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে। সেখানে সিনিয়র এক চিকিৎসক বলেন, ‘বিখ্যাত আর্টিস্ট সনাতন দিন্দা তাঁর আঁকা ছবি তিনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন। আমি মনে করি এই ছবির মধ্যে সমস্ত প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। এটা একটা প্রতীকী ছবি যেটার মাধ্যমে যে বিদ্রোহ হচ্ছে সেটা ফুটে উঠছে এবং সঙ্গে আগুন ফুটে উঠছে এটা জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে যেন থাকে।’
অন্যদিকে, ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে আরও দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক নতুন করে অনশনে বসেন। একদিন আগেই উত্তরবঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক সন্দীপে নতুন করে অনশনে বসেন। মঙ্গলবারই অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অনশন করছিলেন।