ঠিক একদিকে যেমন পুজোর কার্নিভাল হচ্ছে রেড রোডে। ঠিক সেই সময় ধর্মতলায় হচ্ছে (RG Kar) দ্রোহের কার্নিভাল এবং মানব বন্ধন কর্মসূচি। এই পরিস্থিতিতে মানব বন্ধনের (RG Kar) মধ্যেই শ্রীভূমির ট্যাবলো ও সুজিত বসুর গাড়ি ঢুকে পড়ে। সেই সময় জনগণ (RG Kar) সুজিত বসুর গাড়িকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন। রাগে ফেটে পড়েন মন্ত্রী (RG Kar) সুজিত বসু।
মঙ্গলবার রাতে শ্রীভূমির ট্যাবলো মানব বন্ধন কর্মসূচির মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারসঙ্গে ঢুকে পড়ে শ্রীভূমির অন্যতম উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। সুজিত বসুর গাড়িকে লক্ষ্য করে মানব বন্ধনে থাকা সাধারণ মানুষ স্লোগান দিতে থাকেন। মন্ত্রী অভিযোগ করেন, অনেকে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ে। এমনকী চলন্ত গাড়ির পেছনে চড় থাপ্পড়ও দেন কেউ কেউ। তবে তিনি গাড়ি থামাননি। দ্রুত গতিতে গাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই তিনি রাগে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু এটা কী ধরনের অসভ্যতা। গাড়িতে আক্রমণ করবে? ওদের থেকে আমাদের পুজো লোক অনেক বেশি ছিল। ওখানে যদি পালটা হত তাহলে কী ভালো হত! আমি চাইনি পুজোর মধ্যে ঘটনাটা বাড়তে দিতে।
অন্যদিকে, রাজ্যের প্রশাসন দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধ করতে একধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। প্রথমে মুখ্যসচিব চিকিৎসকদের ইমেল করে এই কার্নিভাল বন্ধ করার কথা বলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয় না। চিকিৎসকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন। এমনকী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও মুখ্যসচিব দ্রোহ কার্নিভাল বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা মুখ্যসচিবকেই দ্রোহ কার্নিভালে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। তারপরেই রাসমনি সরনীতে ১৬৩ ধারা লাগু করে দেয় পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। শুধু তাই নয়, অন্যদিকে, সারিসারি দূর পাল্লার ফাঁকা বাস রেখে দেয়। এরপরেই চিকিৎসকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট দ্রোহ কার্নিভালে অনুমতি।