পুজোর আর দ্রোহের কার্নিভালের (RG Kar) মধ্যে এক চিকিৎসককে কোনও কারণ না দেখিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা আটক করার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। (RG Kar) তপোব্রত রায় কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক ছিলেন। তিনি একটি টিশার্ট পরেছিলেন। পাশাপাশি বিচার চেয়ে (RG Kar) একটি ব্যাজ পরেছিলেন। এই ইস্যুতে (RG Kar) বুধবার পুরসভায় চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়। অকারণে সহকর্মীকে আটক করার বিষয়টি মোটেই ভালো চোখে দেখছে না কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকরা।
পুরসভার চিকিৎসকরা একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিন দফা দাবি চেয়ে কলকাতা পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে চিকিৎসকেরা মূলত তিনটি দাবিকে সামনে রেখেছেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, চিকিৎসক তপোব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি তপোব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলে পুরসভাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবির পাশাপাশি পুরসভার চিকিৎসকরা ‘আমরা সবাই প্রতিবাদী’ ব্যাজ পরে বুধবারদিন কাজ করেন। তিনটি দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, রেড রোডে পুজো কার্নিভালে মেডিক্যাল টিমের সদস্য ছিলেন চিকিৎসক তপোব্রত রায়। তিনি শিরদাঁড়া বিক্রি নেই স্লোগান দেওয়া একটা টিশার্ট পরে যান। পাশাপাশি একটি ব্যাজ পরেছিলেন যেখানে বিচার চাওয়া হয়। কিন্তু রেড রোডে ঢোকার আগেই পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। পুলিশ তাঁকে আটক করে। আটকের সময় তাঁকে বলা হয় না কেন আটক করা হচ্ছে বা আটক করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? পরে তাঁকে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্রোহের কার্নিভালে সেই সময় প্রচুর চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। তপোব্রতের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসকদের একাংশ ময়দান থানা ঘেরাও করে। পাশাপাশি পুলিশের ওপর অবিলম্বে তোপব্রতকে মুক্তি দিতে হবে বলে চিকিৎসকদের সংগঠন IMA চাপ বাড়াতে শুরু করে। সাড়ে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর পুলিশ চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে মুক্তি দেয়।