বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা (Citizenship Act S.6A) নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ অসম চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯৮৫ সালে একটি সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রেখেছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত, এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় দেন, যেখানে বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ভিন্নমত পোষণ করেন। ১৯৬৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের মধ্যে অসমে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের (Citizenship Act S.6A) সুবিধা দেওয়ার জন্য ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তিতে ৬এ ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় হল নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা (Citizenship Act S.6A) সাংবিধানিকভাবে বৈধ। বিচারপতি পারদিওয়ালা অবশ্য আইনটির সংশোধনীকে ভুল বলে মনে করেন। বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বলেছে যে সংশোধনীটি সঠিক। অর্থাৎ ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত যারা বাংলাদেশ থেকে অসমে এসেছিলেন তাদের নাগরিকত্ব হুমকির মুখে পড়বে না। অসমে ৪০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের মানুষের সংখ্যা ৫৭ লক্ষ, তবুও অসমের কম জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে সেখানে আলাদা কাট-অফ তারিখ তৈরি করা প্রয়োজন ছিল। ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কাট-অফ তারিখটি সঠিক।
সহজ কথায়, সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তি এবং নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা ৪:১ এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা বহাল রেখেছে। এর আওতায় পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাঁরা অসমে এসেছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্ব অব্যাহত থাকবে। এর পরে যারা আসবে তাদের অবৈধ নাগরিক (Citizenship Act S.6A) হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে অসমের কম জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে কাট-অফ তারিখ নির্ধারণ করা সঠিক ছিল।