আরজি কর (RG Kar)কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। এবার সুবর্ণ গোস্বামীকে বিপাকে ফেলতে জোর কদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলের আইটি সেল। তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য এবার চিকিৎসক (RG Kar) সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরজি করের (RG Kar) বেলগাছিয়া হোস্টেলে আত্মহত্যা করে এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাস। সেই সময় এই (RG Kar) আত্মহত্যার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন আরজি করের (RG Kar) এসএফআই নেতা চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর।
দেবাংশু ভট্টাচার্য এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন, সৌমিত্র বিশ্বাসের মা সবিতাদেবীর অভিযোগ ছিল ছেলে আরজি করের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে চলা পর্নোগ্রাফিক চক্রের ব্যাপারে জেনে গিয়েছিল। তাঁর ব্যাচের একটি মেয়ের ছবি বিকৃত করা হয়েছিল। প্রথমে পুলিশ ও পরে সিআইডি ঘটনার তদন্ত করে। ঘটনার তদন্তে খুনের তত্ত্ব প্রমাণ না হলেও পর্নগ্রাফি চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।
সুবর্ণ গোস্বামী এই ধরনের অভিযোগের প্রসঙ্গে বলেন, আরজি কর আন্দোলনে শাসকদল অস্বস্তিতে। যে কোনও মূল্যে আরজি কর আন্দোলনকে শাসক দল কালিমা লিপ্ত করতে চেয়েছিল। এই নানাভাবে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তাঁকেও একই কারণে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পর্নগ্রাফি চক্রের আরও একটা বড় অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “চক্রের অস্তিত্ব কখনই ছিল না। সেই সময় এসইউসিআইর ছাত্র সংগঠন ডিএসও এই কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। পর্নোগ্রাফির ঘটনায় মূলত তিন-চারজন ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিল। যাদের পরে গ্রেফতার করা হয়। সৌমিত্রর ব্যাচেরই পড়ুয়া ছিল তাঁরা। তাদের মধ্যে একজন মেয়েও ছিল। যাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল। কিন্তু পরে সে জামিন পেয়ে যায়।” পাল্টা সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, আরজি করের অভ্যন্তরে যাঁদের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি তৈরি করার অভিযোগ ছিল, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক ছিল বলে সেই সময় জানা গিয়েছিল।