অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসক (RG Kar) অনিকেত মাহাতো। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে (RG Kar) ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর এতটাই খারাপ অবস্থা হয়েছিল যে তিনি (RG Kar) কোমায় চলে যেতে পারেন বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা করেছিলেন। টানা সাতদিন হাসপাতালে থাকার পর জুনিয়র (RG Kar) চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো আজকে আরজি কর হাসাতাল থেকে ছাড়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তাঁর এখন সম্পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন।
প্রায় ১৩ দিন ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। একের পর এক চিকিৎসক অনশন করতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের তরফে এখনও কোনও সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে থামানোর জন্য পুলিশের অতিসক্রিয়তার জন্য বার বার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অব ডক্টর্স-এর ডাকে মঙ্গলবার বিকেলে রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভালের পরিকল্পনা করা হয়। প্রথম থেকে সরকারের তরফে এর বিরোধিতা করা হয়। সেই দ্রোহের কার্নিভালের আগেই কলকাতার একাধিক জায়গায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। অশান্তির আশঙ্কায় ধর্মতলা সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায় একদিনের জন্য এই ধারা জারি করা হয়েছিল। এই ১৬৩ ধারা জারির ফলে চিকিৎসকদের দ্রোহের কার্নিভাল কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন চিকিৎসকরা।
সোমবার থেকে দেখা যাচ্ছে, রানি রাসমণি রোডে একাধিক খালি বাস দাঁড়িয়ে আছে। অভিযোগ, রাস্তা অবরুদ্ধ করে দেওয়ার জন্যই বাসগুলি দাঁড় করিয়ে রেখেছে পুলিশ। একদিকে যখন রেড রোডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, অন্যদিকে তখন রানি রাসমণি রোডে বড় বড় ব্যারিকেড এনে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে রাস্তার ধারে। সকাল থেকেই রাস্তার ধারে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে পর প্রশাসনের যাবতীয় পরিকল্পনায় কার্যত বানচাল হয়ে যায়। দ্রোহের কার্নিভালে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্রোহের কার্নিভালে মানুষেক জমে থাকা রাগ, ক্ষোভের আগুন নিভিয়ে দিয়েছিল পুজো কার্নিভালের জৌলসকে।