২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুরুলিয়ার (Purulia)কুমারী নদী থেকে ফের একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পুরুলিয়ার (Purulia) বরাবাজার থানার সিন্দ্রি এলাকায় কুমারী নদীর পাড় থেকে বুধবার অজ্ঞাত পরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে (Purulia) জানা যায়, ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পার্শ্ববর্তী মানবাজার থানা (Purulia) এলাকার দেলদোরিয়ায় সেই কুমারী নদী থেকেই উদ্ধার হল এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ৷ এখনও এই মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে মৃত মহিলার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার হওয়ার দেহের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত বুধবার সকালে বরাবাজার থানার সিন্ধরী অঞ্চলের তসরবাকি গ্রামের কাছে কুমারী নদীর চর থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বালি দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল সেই দেহ। আর বৃহস্পতিবার বিকেলে মানবাজার থানা এলাকার দোলদেড়িয়া গ্রামের কাছেই বালির মধ্যে দেহের অংশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই দৃশ্য দেখেই পুলিশকে খবর দেন বাসিন্দারা। মানবাজার থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরণে ছিল জিনস-টপ। মৃত তরুণীর বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর মাথাটা থ্যাঁতলানো ছিল। নদীর ধারে পাওয়া গিয়েছে একটি চশমা। এই ক্ষেত্রেও পুলিশ মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি। এলাকার মানুষজনও চিনতে পারছেন না। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী? নাক কেউ মেরে বালিতে পুঁতে দিয়ে গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে পরপর দুটি ঘটনাট কুমীর নদীর ধারে যেতেও ভয় পাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, ওই মহিলা আত্মহত্যা নাও করতে পারেন। কারণ মৃতদেহের মাথা থেঁতলানো ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিয়ে সঠিক তদন্ত পাওয়া যাবে।