পরিবার অনটন কাটাতে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি (Sandeep Ghosh) তাঁর ফিক্সড ডিপোসিট ভাঙতে চেয়েছিলেন। শুক্রবার তাঁর মামলাটি শোনার কথা আদালতে। তিনি (Sandeep Ghosh) চেয়েছিলেন, তাঁর এই এফডি ভাঙানোর মামলাটি আগে শোনা হোক। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, কোনওভাবেই আদালতে এই মামলা (Sandeep Ghosh)এগিয়ে আনা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হন সন্দীপ ঘোষ। অবসরকালীন বেঞ্চে তাঁর ফিক্সড ডিপোসিট ভাঙার মালা শোনার কথা ছিল। এই মামলা ৬৩ নম্বরে ছিল। আইনজীবী এই মামলা এগিয়ে নিয়ে আসার আবেদন জানান। কিন্তু হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তা সম্ভব নয়।
আরজি কর কাণ্ডে প্রথম সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে। তারপর আরজি কর কাণ্ডে একের পর এর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। সিবিআই আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সবার প্রথম সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে।প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। হাসপাতালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে দেহ পাচার, একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সন্দীপ ঘোষকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছিল। নিউটাউন সংলগ্ন হাতিয়ারায় নোয়াপাড়ায় সন্দীপ ঘোষের একটি তিনতলা বাড়ির খোঁজ মেলে। বেলেঘাটায় আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধানও পান গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যে সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারি রিজেস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এই প্রতিবাদেও সন্দীপ ঘোষ হাইকোর্টে মামলার আবেদন করেছিল। কিন্তু সেই মামলার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অন্যদিকে, প্রথমে দুর্নীতির জন্য সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করলেও পরে আরজি কর কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য গ্রেফতার করা হয়। তবে সিবিআই তাদের প্রথম চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে অভিযুক্ত করেছে। চার্জশিটে আরজি কর কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত থাকার সন্দেহে শুধু সঞ্জয় রায়ের নাম রয়েছে, যার জেরে নাগরিক সমাজের মধ্যে একটা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। বার বার সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবারও একটি সংগঠনও সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করে।