কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক তথ্য সামনে আসছে। পুলিশি তদন্তে বার বার উঠে আসছে আত্মহত্যার তত্ত্ব। সম্প্রতি একটি (Krishnanagar) অডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে (Krishnanagar) তরুণী বলছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজে একাই দায়ী। কোনওদিনও কাউকে দোষী করিনি, আর করবও না। আমার এই সিচ্যুয়েশনের জন্য কেউ দায়ী নয়। না আমার ফ্যামিলি, না আমার ফ্রেন্ড সার্কেল, না আমার রিলেশনশিপ। আমার বন্ধু-বান্ধবীরাও এর মধ্যে নেই। আমার বাবা-মা, পরিবারের কেউ এর মধ্যে নেই। আমার উড বি যে, সেও নেই। তার ফ্যামিলিও নেই।”
ইতিমধ্যে তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় সাত সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। তবে তরুণীর পরিবার বার বার দাবি করছেন, তাঁদের মেয়ে কোনওভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন না। পুজো মণ্ডপের মধ্যেই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের তরফে অনুমান করা হচ্ছে। তারপরেও একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তরুণী তাহলে বিবস্ত্র অবস্থায় কেন ছিলেন। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জীবিত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। অ্যাসিড নয়, শরীরে পাওয়া গিয়েছে কেরোসিনের গন্ধ। পুলিশ সুপার অমর কে নাথ বলেছেন, “একটা প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে লাইট ব্লুইশ কালারের লিকিউড রয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। ১৫ তারিখে তরুণীর গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে। ১৫ তারিখ অনেক বন্ধুর সঙ্গেই কথা বলেছিলেন তরুণী।”
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, কাউকে বাঁচাতে বার বার পুলিশ আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনার চেষ্টা করছে। মৃতার পরিবারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দেখা করেন। তিনি তাঁদের আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘খুনই করা হয়েছে তরুণীকে, ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ। ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে।’