জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন (NRS)। এখনও আট জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশন করছেন। সিনিয়র চিকিৎসকরাও প্রতীকী অনশন করছেন (NRS)। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে সিনিয়র চিকিৎসকরা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। বার বার শাসকদল অভিযোগ করছেন, এর জেরে স্বাস্থ্য পরিসেবা ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য পরিসেবা যে ব্যহত হচ্ছে না, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল নীল রতন সরকার হাসপাতালে ()NRS। দুই দিনের নাবজাতকের পেটে পাওয়া গেল যমজ ভ্রূণ। নীল রতন হাসপাতালের (NRS) চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে সেই ভ্রূণ সফলভাবে বার করে আনেন বলে জানা গিয়েছে।
মালদহের নবজাতকের শরীরে যমজ ভ্রূণ পাওয়া গিয়েছিল। এনআরএসের শিশু বিভাগের শল্য চিকিৎসকরা জটিল অস্ত্রোপচার করে সেই ভ্রূণ বাদ দেন। জানা যায়, নবাজতকের বয়স যখন মাত্র দুই দিন। সেই সময় নবজাতকের শরীরে যমজ ভ্রূণ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার চিকিৎসকরা এনআরএসে স্থানান্তরিত করে। শিশুটির ১৮ দিনের মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। শিশুটির বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। এনআরএসের শল্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি একটি অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচার ছিল। যা সফল হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এনআরএসের চিকিৎসকরা বলেন, “যখন যমজ বাচ্চা তৈরি হয়, তখন প্রকৃতির কিছু বেনিয়মের ফলে একটি বাচ্চার পেটের মধ্যেই আরেকটি ভ্রূণের অবশিষ্টাংশ ঢুকে যায়। সেখান থেকে রক্ত আহরণ করে বাড়তে থাকে। ওটা পরিপূর্ণ ভ্রূণ নয়। ওটা পার্সিয়াল ভ্রূণ, হাতপা কিছুটা, শিরদাঁড়া কিছুটা, মাথার কিছুটা অংশ থাকে। আরও অদ্ভুত ব্যাপার এই বাচ্চাটির পেটের মধ্যে দুটি এরকম ভ্রূণ পাওয়া গিয়েছে।”
চিকিৎসক কৌশিক সাহা বলেন, নবাজতকের পেটে যজম ভ্রূণ পাওয়া খুব অস্বাভাবিক ঘটনা। নবজাতকের শরীরে আর একটা ভ্রূণ অনেক সময় পাওয়া যায়। কিন্তু যজম ভ্রূণ পাওয়ার ঘটনা খুব বিরল। আমার চিকিৎসক জীবনে কখনও এই ধরনের ঘটনা দেখিনি। তবে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। শিশুটি ভালো রয়েছে। তবে এখনও শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন।