আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) প্রথম থেকেই সহমর্মিতা দেখিয়েছিলেন ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। একাধিকবার আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) মিছিলে ডিএ আন্দোলনকারীরা হেঁটেছেন। রবিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের (RG Kar) প্রতি সমর্থন জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন তাঁরা। আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে ডাক্তারদের আমরণ অনশনকেও সমর্থন করছেন তাঁরা।
সরকারি কর্মীদের অবস্থান মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ বলেন, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। আজ নিয়ে তাঁদের অনশনের প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেল। আমাদের কাছে এই গোটা ঘটনায় সব থেকে বেশি যেটা বেদনাদায়ক মনে হয়েছে, তা হল সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতা। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনও দফতর নেই যেখানে থ্রেট কালচার নেই। ২০১২ সালের পর থেকে রাজ্যের থ্রেট কালচার কার্যত আকাশ ছুঁয়েছে। তিনি বলেন, আজকে তাঁরা এই থ্রেট কালচারের বিরোধিতা করে অনশনে বসছেন।
তিনি বলেন, আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একজনকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে। জেল খাটতে হয়েছে। নেতৃত্বের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তিনি অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনের জন্য দুই নেতাকে বেআইনিভাবে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে। এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছে, যে একটু এগিয়ে গেলেই সিকিমে পৌঁছে যাওয়া যাবে। আজকে সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আরজি করের প্রতিবাদের পাশাপাশি ডিএ নিয়েও আজকে আমাদের প্রতিবাদ।
অন্যদিকে, শনিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর ফোন থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের একটি সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু শনিবার সন্ধের পর মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি ইমেল পাঠান। সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অনশন তোলার পরেই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবে। এছাড়াও একাধিক শর্ত দেওয়া হয়।