১৩ নভেম্বর বাংলার ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (By elections) হবে। ইতিমধ্যে তৃণমূল ছয় কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। নৈহাটি (By elections) থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন সনৎ দে। এছাড়াও সিতাই থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সঙ্গীতা রায়। অন্যদিকে, মাদারিহাট থেকে জয়প্রকাশ তোপ্পা ও হাড়োয়া থেকে এসকে রবিউল ইসলাম, মেদিনীপুর থেকে সুজয় হাজরা এবং তালডাংরা থেকে ফাল্গুনী সিংহবাবু তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (By elections) একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাওয়া যায়, এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে (By elections) যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেখানের তৃণমূল সাংসদদের ঘনিষ্ঠদেরই উপনির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়েছে। নৈহাটি থেকে তৃণমূল প্রার্থী করে সনৎ দে-কে। পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। তিনি নৈহাটির বিধায়ক ছিলেন। সাংসদ পদ গ্রহণ করার জেরে তাঁকে স্বাভাবিকভাবে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। এবার সেই বিধায়ক পদের জন্য তৃণমূল পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ সনৎ দে-কে বেছে নিয়েছে। নৈহাটির ভূমিপুত্র সনৎ দে পুরসভার দু’বারের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য ছিলেন। সনৎ দে নৈহাটির দক্ষ প্রশাসক হিসেবে নিজেকে বার বার প্রমাণ করেছেন। তিনি পার্থ ভৌমিককে নিজের রাজনীতির গুরু বলেও মনে করেন। নৈহাটিতে তাঁর জনপ্রিয়তা নেহাৎ কম নয়। তাই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নৈহাটির তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা ইতিমধ্যে সনৎ-দের বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। উচ্ছ্বসিত সনৎ দে সাংবাদিকদের বলেন, “পার্থ ভৌমিক আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ মেনে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।”
অন্যদিকে, নৈহাটিতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রূপক মিত্র। তিনিও নৈহাটির ভূমিপুত্র। স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে নৈহাটির বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রূপক মিত্রকে বেছে নিয়েছে বিজেপি। বার বার বিজেপিকে বহিরাগত বলে শাসকদল উল্লেখ করে। তবে রূপক মিত্রকে বেছে নেওয়ার ফলে কোনওভাবেই শাসক দল বিজেপির প্রার্থীকে বহিরাগত বলে উল্লেখ করতে পারবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।