স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবিকে (Nabanna) ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী নাকচ করে দিলেন। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের (Nabanna) প্রশ্ন করেন, “আপনারা একটা পরিবারের সকলকে সরিয়ে দেবেন?” নবান্নের বৈঠকে (Nabanna) তিনি সরাসরি বলেন, স্বাস্থ্য সচিবকে তিনি সরাবেন না।
এদিন চিকিৎসক অগ্নিবীর কুণ্ডু বলেন, “স্বাস্থ্য সচিবের সম্বন্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। আপনি কাগজ চেয়েছিলেন। বেশ কিছু কাগজ স্যারের হাত থেকে বেরিয়েছে। সেই কারণে অপসারণের কথা বলেছি।” এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা মানুষের অভিযোগ প্রমাণের আগে তাঁকে অভিযুক্ত বলা যায় না। তুমি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারো।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে এনআরএস-এর মেডিক্যাল চিকিৎসক সন্দীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, “যার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে অভিযুক্ত বলা যায়। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়, তাঁকে দোষী বলা যায়। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত বলাটা লিগ্যালি ও গ্রামাটিক্যালি ঠিক।” যদিও মুখ্যমন্ত্রী এরপরেও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন।
আরজি করে ৪৯ জনকে সাসপেন্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বার বার তিনি অভিযোগ করতে থাকেন, কেন তাঁকে জানানো হয়নি। অন্যদিকে, আরজি করের তরফে পরিষ্কার করে জানানো হয়, সমস্ত গাইডলাইন মেনেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো পরিষ্কার করে বলেন, ওরা নটোরিয়াস ক্রিমিনাল। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি দুর্নীতির পক্ষে থাকবো নাকি ধর্ষকের পক্ষ থাকবো।” কিন্তু সেই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি না দুর্নীতির পক্ষে থাকতে চান না ধর্ষকদের। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আরজি কর নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন না তোলা হলে সারা রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকরা ধর্মঘট করবেন। যার জেরে সারা রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দেয়। সেই পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তখনই সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ঠিক হয়।