কালীপুজোর আগে বাংলার আকাশ ঘিরে দুর্যোগের (Cyclone) ভ্রকূটি দেখা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার পুরী-সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘দানা’। এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ থেকে ১৩৫ কিমি পর্যন্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Cyclone) আজই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বুধবার তা গভীর নিম্নচাপে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাগরদ্বীপ থেকে পুরীর মাঝখানে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। বর্তমানে সাগরদ্বীপ থেকে এই নিম্নচাপ ৭৭০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। কাল থেকে ওড়িশায় উপকূলবর্তী সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালকের মধ্যেই পুরীর সৈকত ফাঁকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সৈকত শহর দীঘাতে ইতিমধ্যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সমুদ্র উত্তাল হবে। সেই দৃশ্য দেখতে বহু পর্যটক হাজির হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দড়ি দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। দড়ির একপাশ থেকেই পর্যটকরা সমুদ্র দেখতে পারবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে সমুদ্রতট থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দানা নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবী, নীচু এলাকার বাসিন্দাদের ও পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল মালিকদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ দিন ভারী থেকে চরম ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর সাইক্লোন দানা আছড়ে পড়লে উপকূলে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বইতে পারে ঝড়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার, দু’দিন কলকাতায় অতি ভারী বর্ষণের কমলা সতর্কবার্তা রয়েছে। উত্তাল হবে সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কালীপুজোর আগে এই ঘূর্ণিঝড় মানুষের মনে আশঙ্কার রেশ বয়ে আনছে।