By Elections: ভেঙে গেল বাম-কংগ্রেস জোট! উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পরেই রাজ্যে ভেঙে গেল বাম-কংগ্রেস জোট (By Elections)। বামেদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার (By Elections) পরেই কংগ্রেসের তরফে সিতাই আসনটি দাবি করা হয়। আগে জানানো হলে আলোচনা করা যেত। দেরি হয়ে গেছে (By Elections) । তবে দুই পক্ষের তরফেই জানানো হয়েছে, লড়াই বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। (By Elections) পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোটের দরজা খোলা রয়েছে।

 

রাজ্যে ৬টি আসনে বিধানসভা উপ নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন। নির্বাচ কমিশন জানিয়েছে, ১৩ নভেম্বর নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে বামফ্রন্ট পাঁচটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বামফ্রন্ট শুধু হাড়োয়া কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। আলিমুদ্দিনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুরে প্রথম কংগ্রেসের তরফে ফোন করা হয়। উপনির্বাচনে আসন রফার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, কংগ্রেসের তরফে সিতাই আসনটি দাবি করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক দেরি করে ফেলেছেন। ওই আসনে ফরওয়ার্ড ব্লক লড়াই করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। এর পর নৈহাটি আসনটি দাবি করেন শুভঙ্করবাবু। সেটিও ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিমানবাবু। ওই আসনে CPIML লড়াই করছে।”

এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, সোমবার দুপুরে ওরা ফোন করে সিতাই আসনটি দাবি করেন। তাঁরা আগে দাবি করলে আলোচনা করে দেখা যেতো। প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণার আগে বামেরা সময়সীমা দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় কংগ্রেসের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এভাবেই কৌশলে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস জোট ভাঙল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ২০২৬-য়ে জোটের দরজা খোলা থাকছে বলে জানিয়েছে বামেরা।

ইতিমধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এবারের উপনির্বাচনের দিকে বাংলার পাশাপাশি সারা রাজ্যের নজর রয়েছে। বাংলায় উপনির্বাচনে আরজি কর আন্দোলনের প্রভাব পড়বে কি না, সেই দিকে তাকিয়ে বাংলা। তবে প্রাথমিকভাবে অনেকেই মনে করছে, আরজি কর কাণ্ডে অনেকটা ব্যাকফুটে শাসক দল। পাশাপাশি আরজি করের রেশ কলকাতাতে যেভাবে পড়েছে, রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় সেভাবে পড়েছে কি না, সেই নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে।