কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) তরুণীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের পারদ ক্রমেই বাড়ছে। এবার প্রকাশ্যে এল ঘটনার দিনের রাতের ফুটেজ। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঘটনার দিন প্রশাসনিক ভবনের (Krishnanagar) দিকে একাই হেঁটে যাচ্ছেন ওই তরুণী। অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের পূর্ণ রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে (Krishnanagar) ধর্ষণের কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। পুলিশ এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তখনই সম্পূর্ণ বিষয়টা প্রকাশ্যে আসবে।
প্রাথমিকভাবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগুনে মাথার চুল, দুটো হাত ও মুখের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে। শরীরের নীচের পার্টও অনেকটা পুড়ে গিয়েছে। বুক পুড়ে গিয়েছে। শরীরে কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তরুণীর শরীর কেরোসিন জাতীয় কোনও পদার্থের জেরে শরীর পুড়ে গিয়েছে। শরীরে ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া শ্বাসনালীতেও কার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। ১৬ তারিখ ভোরে পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরে একটি প্যান্ডেলের মধ্যে ওই তরুণীর ঝলসানো শরীর উদ্ধার করা হয়।
তরুণীর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পাশাপাশি তরুণী তাঁর মাকে অডিও বার্তা পাঠায়। সেখানেও তাঁর আত্মহত্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু তরুণীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, তরুণীর প্রেমিক তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। অন্যদিকে, মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে দুই জনকে একই জায়গায় দেখা যায়। তরুণীর প্রেমিক বলেন, সেই সময় তিনি কলেজ মাঠে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বসে ছিলেন। ইতিমধ্যে তরুণীর প্রেমিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তরুণীর প্রেমিক জানায়, সেই দিনই দুই জনের মধ্যে ব্রেক-আপ হয়ে গিয়েছিল। আর্থিক লেনদেন নিয়ে দুই জনের সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেখান থেকেই তাঁদের ব্রেকআপ হয়ে যায়।