Cyclone: ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আতঙ্ক‘পুরী’! সময়ের আগেই হোটেল ছাড়ছেন পর্যটকরা

ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) দানার প্রভাবে কার্যত আতঙ্কপুরীতে পরিণত হয়েছে পুরী। সময়ের আগে (Cyclone) পর্যটকরা হোটেল ছাড়তে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ওড়িশার উপকূল সংলগ্ন প্রায় ১৩টি জেলার সমস্ত স্কুল ও কলেজ ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন (Cyclone) । শুধু তাই নয়, মাইকিং করে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের সাবধান করতে (Cyclone) শুরু করেছে। অন্যদিকে, সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে প্রশাসন।

 

২০১৯ সালে ফনীতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পুরী। সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে এবার ধেয়ে আসছে দানা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মঙ্গলবার প্রায় সারাদিন মেঘলা আকাশ ছিল পুরীতে। যত সময় এগোচ্ছে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। মাইকিংয়ে সাহায্যে স্থানীয় প্রশাসন সমুদ্র সৈকতের কাছে যেতে পর্যটকদের নিষেধ করছেন। অন্যদিকে, পুরীতে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই আতঙ্কে পুরীতে পর্যটকরা সময়ের আগেই হোটেল ফাঁকা করতে শুরু করেছে।  দুর্ঘটনা এড়াতে লাইফগার্ডের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে পুরীর সৈকতে।

সবে দুর্গাপুজো কেটেছে। কালীপুজো আসতে আর কিছুদিন বাকি। এই লম্বা ছুটিতে বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য পুরী। অন্যান্য বছর এমনকী এই বছরেও এই সময়ের হোটেল পেতে পর্যটকদের বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু আচমকা ঘূর্ণিঝড়ের খবরে সমস্ত পরিকল্পনা একেবারে বানচাল হয়ে গিয়েছে পর্যটকদের। তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব হোটেল ছেড়ে নিজেদের বাড়ি ফিরতে আগ্রহী হয়েছে। অন্যদিকে, ওড়িশা সরকার একাধিক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার জেরে পর্যটকরা আরও বিপাকে পড়বেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

পর্যটকদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করতে হোটেলগুলিকে অ্যাডাইসরি জারি করেছে ওড়িশা প্রশাসন।  স্কুল ও কলেজের পাশাপাশি ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে ওড়িশা ডিজাস্টার র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বহিনীর একাধিক টিম। উদ্ধারকাজের জন্য একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুরী ও ভুবনেশ্বরের একাধিক জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ওড়িশা সফর স্থগিত করা হয়েছে।