সোমবার নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলেছিলেন। সেই কথাই রাখলেন। সমস্ত সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষায় আগেই গ্রিভান্স সেল গড়ে দিয়েছেন (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুরক্ষায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জুনিয়র চিকিৎসকরা যে ১০ দফা দাবি করে আন্দোলন করছিলেন, আন্দোলন করছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল টাস্ক ফোর্স গঠন।টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
এই বিশেষ টাস্ক ফোর্সের কাজ কী? রকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়ন, চিকিৎসক–সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং অভিযোগের নিষ্পত্তিকেই গুরুত্ব দিতে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের। এক একটি টাস্ক ফোর্সে ১১ জন সদস্য থাকবে। যার মধ্যে দুই জন সিনিয়র চিকিৎসক, দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক। নবান্নে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বাস্থ্যসচিব এই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন।
নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। নবান্নের বৈঠকে ওপেন ডেস্ক চালু করার কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অলরেডি গ্রিভান্স সেল রয়েছে। মাসে একটা করে রিভিউ মিটিং করতে হবে। সকলকে থ্রেট কালচার মুক্ত করতে হবে। কেউ কাউকে যেন থ্রেট না করে। কলেজ লেভেল টাস্ক ফোর্স কনসিডার করতে পারি। আমার মনে হয় না তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে।’
সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের অনশন তুলে নেন। তবে তাঁরা কোনও প্রশাসনিক চাপে বা ভয় পেয়ে এই অনশন তুলছেন না। আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা অনশন মঞ্চে এসে তাঁদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। নাগরিক সমাজের একাংশ বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনশন তুলতে অনুরোধ করেছিলেন। সেগুলোকে মান্যতা দিতেই তাঁরা অনশন তুলছেন।