ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) দানার প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, ২ মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে বলে (Cyclone) আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলা (Cyclone) করতে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে (Cyclone) ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, রাজ্য ও জেলাস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৯ জেলায় সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। পর্যটন শহর দীঘাতে আলাদা করে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এবার পর্যটক শূন্য হতে চলেছে দীঘা। স্থানীয় প্রশাসন বুধবার বেলা ১২টার মধ্যে সমস্ত হোটেল ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ২৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও বুকিং না নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। সন্ধের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সময় যত এগোচ্ছে হাওয়ার গতিবেগ তত বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। মৎস্যজীবীদের সমু্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দীঘাতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অনেক পর্যটক ঝড়ের সময় উত্তাল হওয়া সমুদ্র দেখতে দীঘাতে হাজির হয়েছিলেন। কার্যত তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই সমুদ্রে নামার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। দড়ি দিয়ে সীমারেখা করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই সমুদ্র দেখতে পারবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে সমুদ্রতট থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দানা নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবী, নীচু এলাকার বাসিন্দাদের ও পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল মালিকদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ দিন ভারী থেকে চরম ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর সাইক্লোন দানা আছড়ে পড়লে উপকূলে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বইতে পারে ঝড়।