আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। কবে ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পরার সম্ভাবনা ও কোথায় আছড়ে পরতে পারে সেই বিষয়ে আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে ওড়িশা ও বাংলার বঙ্গোপসাগরের উপকূলের মাঝে কোথাও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। ইতিমধ্যে দুই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে (Train Cancelled)। তারমধ্যেই ২৩, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর একাধিক ট্রেন বাতিলের (Train Cancelled) সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে। ২৩ তারিখ বাতিল করা (Train Cancelled) হয়েছে মোট ১৮টি ট্রেন। ২৪ অক্টোবর বাতিল থাকছে (Train Cancelled) ৩৭ টি ট্রেন। এবং ২৫ অক্টোবার বাতিল করা হয়েছে মোট ১১ টি ট্রেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে ছাড়ার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি হাওড়া ও শিয়ালদহ গামী বেশ কিছু ট্রেন বাতিল (Train Cancelled) করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুরীতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ১৪ ঘণ্টা ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। একইভাবে শিয়ালদা-বারাসত-হাসনাবাদ শাখায় ১৪ ঘণ্টা লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পুরীর হোটেল থেকে পর্যটকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রেলের তরফে একাধির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালের পর থেকে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করেছে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সন্ধের পর থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সময় যত এগোচ্ছে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ তত বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দীঘা থেকে পর্যটকদের বুধবার বেলা ১২টার আগে হোটেল ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, ২৫ তারিখ পর্যন্ত যেন কোনও বুকিং না নেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে দীঘায় সমুদ্রে নামার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত নীচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।