যত সময় যাচ্ছে, সমুদ্রের উপকূলে থাকা বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) দানার আতঙ্কে শিহরিত হয়ে পড়ছেন। তবে আগাম সতর্কতায় (Cyclone) প্রশাসন একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার পর্যটক শূন্য হতে চলেছে দীঘা (Cyclone) । স্থানীয় প্রশাসন বুধবার বেলা ১২টার মধ্যে সমস্ত হোটেল ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে (Cyclone)। পাশাপাশি সমস্ত হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Cyclone) , যাতে ২৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও বুকিং না নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দীঘাতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অনেক পর্যটক ঝড়ের সময় উত্তাল হওয়া সমুদ্র দেখতে দীঘাতে হাজির হয়েছিলেন। কার্যত তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই সমুদ্রে নামার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। দড়ি দিয়ে সীমারেখা করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই সমুদ্র দেখতে পারবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে সমুদ্রতট থেকে দূরে যেতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দানা নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবী, নীচু এলাকার বাসিন্দাদের ও পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল মালিকদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ দিন ভারী থেকে চরম ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর সাইক্লোন দানা আছড়ে পড়লে উপকূলে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বইতে পারে ঝড়।
অন্যদিকে, সময়ের আগেই পুরীর পর্যটকরা আতঙ্কে হোটেল ফাঁকা করে দিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ওড়িশার উপকূল সংলগ্ন প্রায় ১৩টি জেলার সমস্ত স্কুল ও কলেজ ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মাইকিং করে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের সাবধান করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে প্রশাসন।
২০১৯ সালে ফনীতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পুরী। সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে এবার ধেয়ে আসছে দানা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মঙ্গলবার প্রায় সারাদিন মেঘলা আকাশ ছিল পুরীতে। যত সময় এগোচ্ছে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। মাইকিংয়ে সাহায্যে স্থানীয় প্রশাসন সমুদ্র সৈকতের কাছে যেতে পর্যটকদের নিষেধ করছেন। অন্যদিকে, পুরীতে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই আতঙ্কে পুরীতে পর্যটকরা সময়ের আগেই হোটেল ফাঁকা করতে শুরু করেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাইফগার্ডের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে পুরীর সৈকতে।