বুধবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু করেছে ইডি (ED Raid)। রেশন দুর্নীতি মামলায় বুধবার সকালে হাওড়ার পাঁচলায় যান ইডির আধকারিকরা (ED Raid)। জানা গিয়েছে, এই মামলায় যে কজন রেশন ডিলারের নাম জড়িয়েছে, তাঁরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। বুধবার পাঁচলা ছাড়াও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ইডির অধিকারিকরা নতুন করে অভিযান (ED Raid) শুরু করেছে।
পাঁচলায় রেশন ডিলার লোকনাথ সাহার দোকানে যান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ইডির আধিকারিকরা রেশন ডিলারের দোকানে গেলেও ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। কারণ রেশন দোকানে লোকনাথবাবু ছিলেন না। পরে ইডির আধিকারিকরা লোকনাথবাবুকে ফোন করেন। পাঁচলার বিকীহাকলায় তাঁর এই রেশন দোকান রয়েছে। আধিকারিকরা সেখানেই গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। পাঁচলা ছাড়াও আরও ১৪টি জায়গায় ইডি অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও রেশন দুর্নীতি মামলায় মহেন্দ্র আগওয়াল নামের আর এক ব্যবসায়ীর বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। তাঁর বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের দুটো বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
রেশন দুর্নীতিতে ইডির হানা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রেশন দুর্নীতি মামলা এত বড় যে আগামী কয়েক বছর ধরে রেড চলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেক জেলায় এর সুবিধাভোগী রয়েছে। তৃণমূলের নেতা এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রত্যেকের বাড়িতে তল্লাশি হওয়া উচিত।”
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন বাকিবুর রহমান সহ আরও দুই জন। পুজোর আগেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখনও তিনি জামিন পাননি। তবে শারীরিকভাবে জ্যোতিপ্রিয় প্রচণ্ড অসুস্থ। বাকিবুর রহমান জামিন পেলেও তাাঁর দুই আত্মীয় আনিসুর রহমান ও আলিফ নুরকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ধৃতরা দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে চাষিদের নামে চাল কেনার অভিযোগ রয়েছে।